পর্যটন শহর হিসেবে দেশ-বিদেশে প্রচুর খ্যাতি ও সুনাম রয়েছে কক্সবাজারের। এখন সেই বিশ্বজোড়া খ্যাতির পাশাপাশি অর্থনীতির নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হচ্ছে কক্সবাজারে। এই শহরের, নতুন আবিষ্কার অর্থনীতির চাকার দিক পরিবর্তনে সাহায্য করবে। সেই আবিষ্কার হচ্ছে সিউইড।
এই সামুদ্রিক আগাছার পরীক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বহু মূল্যবান এই শ্যাওলা বা শৈবাল(সিউইড) বাংলাদেশের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা আনবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সামুদ্রিক শৈবাল বা সিউইড পুরো বাংলাদেশ উপকূল জুড়ে পাওয়া যায়, বেশিরভাগ সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার এবং সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনে।
তারমধ্যে, ১৯ টি উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ৩ কোটি মানুষ তাদের প্রতিদিনের জীবিকার জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভর করে। তাদের জীবিকা যাতে আরো উন্নত হয় সেই কথা চিন্তা করে, বিভিন্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট সমুদ্রের উপর রিসার্চ শুরু করেন।
এই রিসার্চে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা অনেক বড় সফলতা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ ফিশ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা উপকূলীয় অঞ্চলে ১১৬ প্রজাতির সিউইডের সন্ধান পেয়েছেন। যার কারণে কক্সবাজারের সাগরতীরে চলছে পরীক্ষামূলক সামুদ্রিক সিউইড চাষ।
যার মধ্যে "বিএফআরআই" ১০ টি প্রজাতির সমুদ্র শৈবালকে দেশে ব্যবহারের জন্য বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
"বিএফআরআই" এর মতে,সেন্টমার্টিন দ্বীপ হল সামুদ্রিক জৈব চাষের হট স্পট। এই রিসার্চ ইনস্টিটিউট টেকনাফ, বাকখালী, ইনানী কুয়াকাটা এবং সুন্দরবনেও যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে সামুদ্রিক শৈবালের সন্ধান পেয়েছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে ককক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার মহেশখালী চ্যানেল ও বাঁকখালী নদীর মোহনার চরে শৈবাল চাষ করা হচ্ছে।
এই সামুদ্রিক শৈবাল একটি সুষম ও সুস্বাদু, বলদায়ক ও শক্তিবর্ধক ঔষধি খাদ্য। বিশ্বের দেশে দেশে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাকে সুস্বাদু এই সিউইড।যারমধ্যে হাইপেনিয়া বেশি পুষ্টিকর।
হাইপেনিয়া সিউইডে প্রচুর আয়োডিন রয়েছে যা আয়োডিনের ঘাটতি হ্রাস করতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক শৈবালঃ
১. আমাদের সমুদ্রে ক্লোরেলা শৈবাল পাওয়া যায়। পাউডার অবস্থায় ১ কেজি ক্লোরেলার মূল্য ৩,৮০০০০ টাকা। যা আমাদের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
২. বাংলাদেশে যে উৎস আছে তা কাজে লাগে পারলে আগামী ২-৩ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সিউইড রপ্তানি করা যাবে তা হবে শুকনা সিউইড।
৩. খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সমুদ্র শৈবাল চাষ করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করতে পারে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ একটি উপস্থাপনায় জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের আশেপাশে নিমজ্জিত স্থায়ী জৈববস্তুর মোট উৎপাদন মার্চ মাসে প্রায় ১৪৩,০০০ টন এবং ২০১৮ সালের এপ্রিলে দেড় লক্ষ টন ছিল।
৫. একজন কৃষক একটি মৌসুমে ১২০০০ থেকে ১৪০০০ টাকা আয় করতে পারেন, কেবল ১২০০ টাকার বিনিয়োগে।
৬. সামুদ্রিক শৈবালের জন্য বর্তমানে বার্ষিক বৈশ্বিক চাহিদা প্রায় ২৬ মিলিয়ন টন।বর্তমানে, এশীয় দেশগুলি বিশ্ববাজারে ৮০% সামুদ্রিক শৈবাল উৎপাদন করছেন।
৭. অন্যান্য ফসলের তুলনায় সামুদ্রিক শৈবাল চাষ অনেক সস্তা, কারণ এতে কোনও সার, ওষুধ বা ভেষজনাশক লাগে না। চার বর্গমিটারে ১২০০ টাকার নিট বিনিয়োগ, প্রতি ১৫ দিনে ৬০-৮০ কেজি সামুদ্রিক জৈব ফলন করতে পারে।
৮. সিউইড মানুষের খাবার ছাড়াও ওষুধ, অয়েন্টমেন্ট, ক্রিম, দাঁতের মাজন, চকোলেট, আইসক্রিম, ডিসটেম্পার পেইন্ট, লিপস্টিক ও নারীর মেকআপসহ অনেক কাজে ব্যবহার হয়।
বৈদেশিক অর্থনীতিতে সিউইডের ভূমিকাঃ
১. সিউইড বা শৈবালের ৫টি প্রজাতী থেকে গাড়ির ও বিদ্যুতের জ্বালানি হিসেবে বায়োফুয়েল, বায়োইথানল, বায়োহাইড্রোকার্বন, বায়োহাইড্রোজেন যা দিয়ে হেলিকপ্টারের জ্বালানি তৈরি করা যায়। এসবের উচ্ছৃষ্ট থেকে বায়োগ্যাস তৈরি হয়। এর উচ্ছৃষ্ট থেকে জৈবসারও তৈরি করা যায়। এদিকে ব্রিটেনের ঘোষণা আগামী ২০২০ সালে এনার্জির ৮০ শতাংশ সিউইড থেকে তৈরি করবে।
২. প্রসাধনী তৈরিতে ও সিউইড ব্যবহৃত হয়। তানজানিয়া শৈবাল নির্ভর ২১টি কারখানা আছে যেখানে সাবান, টুথপেস্ট, প্রসাধনী ক্রিম, কৃত্রিম চামড়া, পেইন্ট, সিল্ক তৈরির ইনসুলেটিং দ্রব্য তৈরি হয়। সার তৈরিতে ও শৈবাল ব্যবহৃত হয়।
৩. চীন, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, জাপান, তানজানিয়া, ফ্রান্স, সিউইড সার উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে।
৪. মিস্টার ওমর হাসান ফ্যালকন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী দীর্ঘ ৮ বছর ধরে শৈবাল নিয়ে চাষ গবেষণা করে চাষ করে ২০১৫ সালে মাত্র ১ মেট্রিক টন রপ্তানির মাধ্যমে ১৬ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছেন। তিনি ২৬ প্রজাতীর শৈবালের চাষ শুরু করেন। তা একদম সমুদ্র উপকূলে। সরকার থেকে ৩৭ একর উপকূলীয় জায়গা লিজ নিয়ে পরীক্ষামূলক শৈবালের চাষ শুরু হয়। যা থেকে ৩ মেট্রিক টন সিউইড উৎপাদন হয় এবং এ থেকে ১ মেট্রিক টন রপ্তানি করে ১৬ হাজার ডলার আয় হয়। অবশিষ্ট সিউইড গবেষণা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব উৎপাদনে মোটা খরচ হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
বাংলাদেশের পরিবেশ এবং সামুদ্রিক অবস্থা এত অনুকূল যে, খুব সহজে সিউইডের চাষ করা যায়। এই সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করে উপকূলীয় লোকেরা কেবল বিকল্প জীবিকা অর্জন করবে না বরং তাদের জীবনকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি অগ্রগতির অনেক বড় সুযোগ।
তথ্যসূত্রঃ
1. Seaweed Councip
2. Agrilife
3. NIB
4. The Daily Star
লেখকঃ
এই সামুদ্রিক আগাছার পরীক্ষামূলক চাষাবাদ শুরু হয়েছে। বহু মূল্যবান এই শ্যাওলা বা শৈবাল(সিউইড) বাংলাদেশের কৃষিতে নতুন সম্ভাবনা আনবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সামুদ্রিক শৈবাল বা সিউইড পুরো বাংলাদেশ উপকূল জুড়ে পাওয়া যায়, বেশিরভাগ সেন্টমার্টিন দ্বীপ, কক্সবাজার এবং সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ বনে।
তারমধ্যে, ১৯ টি উপকূলীয় জেলাগুলোর প্রায় ৩ কোটি মানুষ তাদের প্রতিদিনের জীবিকার জন্য সমুদ্রের উপর নির্ভর করে। তাদের জীবিকা যাতে আরো উন্নত হয় সেই কথা চিন্তা করে, বিভিন্ন রিসার্চ ইনস্টিটিউট সমুদ্রের উপর রিসার্চ শুরু করেন।
এই রিসার্চে বাংলাদেশের বিজ্ঞানীরা অনেক বড় সফলতা অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ ফিশ রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএফআরআই) বিজ্ঞানীরা উপকূলীয় অঞ্চলে ১১৬ প্রজাতির সিউইডের সন্ধান পেয়েছেন। যার কারণে কক্সবাজারের সাগরতীরে চলছে পরীক্ষামূলক সামুদ্রিক সিউইড চাষ।
যার মধ্যে "বিএফআরআই" ১০ টি প্রজাতির সমুদ্র শৈবালকে দেশে ব্যবহারের জন্য বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
"বিএফআরআই" এর মতে,সেন্টমার্টিন দ্বীপ হল সামুদ্রিক জৈব চাষের হট স্পট। এই রিসার্চ ইনস্টিটিউট টেকনাফ, বাকখালী, ইনানী কুয়াকাটা এবং সুন্দরবনেও যুক্তিসঙ্গত পরিমাণে সামুদ্রিক শৈবালের সন্ধান পেয়েছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে ককক্সবাজার শহরের উত্তর নুনিয়াছড়ার মহেশখালী চ্যানেল ও বাঁকখালী নদীর মোহনার চরে শৈবাল চাষ করা হচ্ছে।
এই সামুদ্রিক শৈবাল একটি সুষম ও সুস্বাদু, বলদায়ক ও শক্তিবর্ধক ঔষধি খাদ্য। বিশ্বের দেশে দেশে মানুষের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় থাকে সুস্বাদু এই সিউইড।যারমধ্যে হাইপেনিয়া বেশি পুষ্টিকর।
হাইপেনিয়া সিউইডে প্রচুর আয়োডিন রয়েছে যা আয়োডিনের ঘাটতি হ্রাস করতে পারে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সামুদ্রিক শৈবালঃ
১. আমাদের সমুদ্রে ক্লোরেলা শৈবাল পাওয়া যায়। পাউডার অবস্থায় ১ কেজি ক্লোরেলার মূল্য ৩,৮০০০০ টাকা। যা আমাদের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
২. বাংলাদেশে যে উৎস আছে তা কাজে লাগে পারলে আগামী ২-৩ বছরে ১ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সিউইড রপ্তানি করা যাবে তা হবে শুকনা সিউইড।
৩. খাদ্য ও কৃষি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে ৫.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের সমুদ্র শৈবাল চাষ করে বাংলাদেশ প্রচুর পরিমাণে উপার্জন করতে পারে।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞানের বিভাগের অধ্যাপক আবদুল আজিজ একটি উপস্থাপনায় জানিয়েছেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপের আশেপাশে নিমজ্জিত স্থায়ী জৈববস্তুর মোট উৎপাদন মার্চ মাসে প্রায় ১৪৩,০০০ টন এবং ২০১৮ সালের এপ্রিলে দেড় লক্ষ টন ছিল।
৫. একজন কৃষক একটি মৌসুমে ১২০০০ থেকে ১৪০০০ টাকা আয় করতে পারেন, কেবল ১২০০ টাকার বিনিয়োগে।
৬. সামুদ্রিক শৈবালের জন্য বর্তমানে বার্ষিক বৈশ্বিক চাহিদা প্রায় ২৬ মিলিয়ন টন।বর্তমানে, এশীয় দেশগুলি বিশ্ববাজারে ৮০% সামুদ্রিক শৈবাল উৎপাদন করছেন।
৭. অন্যান্য ফসলের তুলনায় সামুদ্রিক শৈবাল চাষ অনেক সস্তা, কারণ এতে কোনও সার, ওষুধ বা ভেষজনাশক লাগে না। চার বর্গমিটারে ১২০০ টাকার নিট বিনিয়োগ, প্রতি ১৫ দিনে ৬০-৮০ কেজি সামুদ্রিক জৈব ফলন করতে পারে।
৮. সিউইড মানুষের খাবার ছাড়াও ওষুধ, অয়েন্টমেন্ট, ক্রিম, দাঁতের মাজন, চকোলেট, আইসক্রিম, ডিসটেম্পার পেইন্ট, লিপস্টিক ও নারীর মেকআপসহ অনেক কাজে ব্যবহার হয়।
বৈদেশিক অর্থনীতিতে সিউইডের ভূমিকাঃ
১. সিউইড বা শৈবালের ৫টি প্রজাতী থেকে গাড়ির ও বিদ্যুতের জ্বালানি হিসেবে বায়োফুয়েল, বায়োইথানল, বায়োহাইড্রোকার্বন, বায়োহাইড্রোজেন যা দিয়ে হেলিকপ্টারের জ্বালানি তৈরি করা যায়। এসবের উচ্ছৃষ্ট থেকে বায়োগ্যাস তৈরি হয়। এর উচ্ছৃষ্ট থেকে জৈবসারও তৈরি করা যায়। এদিকে ব্রিটেনের ঘোষণা আগামী ২০২০ সালে এনার্জির ৮০ শতাংশ সিউইড থেকে তৈরি করবে।
২. প্রসাধনী তৈরিতে ও সিউইড ব্যবহৃত হয়। তানজানিয়া শৈবাল নির্ভর ২১টি কারখানা আছে যেখানে সাবান, টুথপেস্ট, প্রসাধনী ক্রিম, কৃত্রিম চামড়া, পেইন্ট, সিল্ক তৈরির ইনসুলেটিং দ্রব্য তৈরি হয়। সার তৈরিতে ও শৈবাল ব্যবহৃত হয়।
৩. চীন, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, জাপান, তানজানিয়া, ফ্রান্স, সিউইড সার উৎপাদন করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করে।
৪. মিস্টার ওমর হাসান ফ্যালকন ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী দীর্ঘ ৮ বছর ধরে শৈবাল নিয়ে চাষ গবেষণা করে চাষ করে ২০১৫ সালে মাত্র ১ মেট্রিক টন রপ্তানির মাধ্যমে ১৬ হাজার মার্কিন ডলার আয় করেছেন। তিনি ২৬ প্রজাতীর শৈবালের চাষ শুরু করেন। তা একদম সমুদ্র উপকূলে। সরকার থেকে ৩৭ একর উপকূলীয় জায়গা লিজ নিয়ে পরীক্ষামূলক শৈবালের চাষ শুরু হয়। যা থেকে ৩ মেট্রিক টন সিউইড উৎপাদন হয় এবং এ থেকে ১ মেট্রিক টন রপ্তানি করে ১৬ হাজার ডলার আয় হয়। অবশিষ্ট সিউইড গবেষণা কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এসব উৎপাদনে মোটা খরচ হয়েছে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
বাংলাদেশের পরিবেশ এবং সামুদ্রিক অবস্থা এত অনুকূল যে, খুব সহজে সিউইডের চাষ করা যায়। এই সামুদ্রিক শৈবাল চাষ করে উপকূলীয় লোকেরা কেবল বিকল্প জীবিকা অর্জন করবে না বরং তাদের জীবনকে এগিয়ে নিতে সক্ষম হবে এবং বাংলাদেশ অর্থনীতি অগ্রগতির অনেক বড় সুযোগ।
তথ্যসূত্রঃ
1. Seaweed Councip
2. Agrilife
3. NIB
4. The Daily Star
লেখকঃ
![]() |
| জাকারিয়া ইমন https://www.facebook.com/Zackemon1 |



Comments
Post a Comment