বাংলাদেশ প্রায়শই প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, টর্নেডো ইত্যাদি আঘাত হানে।এর মধ্যে বঙ্গোপসাগরে উৎপন্ন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড় এবং এর সাথে যুক্ত ঝড়ের তীব্রতা সবচেয়ে বিপর্যয়কর। বাংলাদেশে ঘূর্ণিঝড় ও ঝড়ের তীব্র বিপর্যয়ের প্রভাবের বিভিন্ন কারণ রয়েছে। এই বিপর্যয়কর প্রভাব, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ফলস্বরূপ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে অনেকটা আগুনে ঘি ঢালার ন্যায়।গত 110 বছর ধরে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড়ের দ্বারা প্রভাবিত জলবায়ু এবং ঘূর্ণিঝড়ের ফ্রিকোয়েন্সি, তীব্রতার প্রবণতা পরীক্ষা করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা 2 ° C থেকে 4 ° C এবং সমুদ্র স্তর 0.3 মিটার থেকে 1.0 মিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তন একটি চূড়ান্ত বিষয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলির মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশ।ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত বাংলাদেশ সারা বছর মোটামুটি প্রত্যক্ষ রেডিয়েশন গ্রহণ করে এবং তুলনামূলকভাবে উচ্চ তাপমাত্রা বজায় রাখে।
এবার যদি আমরা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থনীতির ওপর কি প্রভাব পড়ে তা লক্ষ্য করি
2050 সালের মধ্যে জিডিপি 6.7 শতাংশ বা 171 বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি।
2050 সালের মধ্যে তাপমাত্রা 2.5 ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস।
জলবায়ু পরিবর্তন জীবনযাত্রার মান, স্বাস্থ্য এবং উৎপাদনকে প্রভাবিত করে।যার ফলে জীবনযাত্রার মানের পতন ঘটাতে পারে-
কক্সবাজার 20.2%
বান্দরবান 18.4%
চট্টগ্রাম 18.1%
রাঙ্গামাটি 15.8%
নোয়াখালী 14.8%
ফেনী 13.5%
খাগড়াছড়ি 12.6%
বাগেরহাট 12%
Source:Carbon Brief |
এবার যদি আমরা বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে অর্থনীতির ওপর কি প্রভাব পড়ে তা লক্ষ্য করি
2050 সালের মধ্যে জিডিপি 6.7 শতাংশ বা 171 বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি।
2050 সালের মধ্যে তাপমাত্রা 2.5 ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি হওয়ার পূর্বাভাস।
Source:Carbon Brief |
কক্সবাজার 20.2%
বান্দরবান 18.4%
চট্টগ্রাম 18.1%
রাঙ্গামাটি 15.8%
নোয়াখালী 14.8%
ফেনী 13.5%
খাগড়াছড়ি 12.6%
বাগেরহাট 12%
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেদিকগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হচ্ছে-
কৃষি
কৃষি
বাংলাদেশের অর্থনীতি মূলত কৃষির উপর ভিত্তি করে, জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশ (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে) কৃষিকাজে নিযুক্ত রয়েছে; যদিও প্রায় দেড় দশকে প্রায় দেশ ধীরে ধীরে শিল্পায়নের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। সুতরাং, বাংলাদেশের কৃষিক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তনের সামগ্রিক প্রভাব দেশের অর্থনীতির জন্য বিস্তৃত এবং ধ্বংসাত্মক হবে। এর পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যান্য প্রভাব যেমন- চরম তাপমাত্রা, খরা এবং লবণাক্ততা অনুপ্রবেশ ইত্যাদিও দায়ী। তাপমাত্রা এবং বৃষ্টিপাতের পরিবর্তন ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ফসলের উৎপাদনকে প্রভাবিত করেছে এবং আবাদযোগ্য জমির ক্ষেত্রফল অনেকাংশে হ্রাস পেয়েছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে মৎস্য খাতও বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। মৎস্য খাত বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ৩.৫% অবদান রাখে এবং লোকেরা তাদের প্রাত্যহিক প্রোটিনের বেশিরভাগ প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য মাছের পণ্যগুলির উপর নির্ভর করে। দেশে প্রায় 260 প্রজাতির মাছ রয়েছে এবং লবণ ও মিঠা পানির পরিস্থিতিতে সংবেদনশীল।ঘূর্ণিঝড়, জলবায়ু পরিবর্তন, নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগের কারণে মাছের আবাসস্থল নষ্ট হয়ে থাকে।যার ফলে প্রজনন ও জীববৈচিত্রের ক্ষেত্রেও এক বিশাল প্রভাব দেখা যেতে পারে।
বাংলাদেশের মতো দেশে, পৃষ্ঠ এবং ভূগর্ভস্থ জলের উৎসগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অত্যন্ত তীব্র এবং উদ্বেগজনক হবে। জলের সংস্থানগত পরিবর্তন দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, যেখানে মানুষ বেশিরভাগই সেচ, ফিশারি, শিল্প উৎপাদন, নেভিগেশন এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য পৃষ্ঠীয় জলের উপর নির্ভরশীল।
ছবিটি গুগল থেকে ডাউনলোডকৃত |
বাংলাদেশের মতো দেশে, পৃষ্ঠ এবং ভূগর্ভস্থ জলের উৎসগুলিতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব অত্যন্ত তীব্র এবং উদ্বেগজনক হবে। জলের সংস্থানগত পরিবর্তন দেশের অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে, যেখানে মানুষ বেশিরভাগই সেচ, ফিশারি, শিল্প উৎপাদন, নেভিগেশন এবং অন্যান্য ক্রিয়াকলাপের জন্য পৃষ্ঠীয় জলের উপর নির্ভরশীল।
উপকূলীয় অঞ্চল
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক ভাগ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে, যেখানে বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী উপকূলীয় বন্যা / জলোচ্ছ্বাস, নদীর তীরের ক্ষয়, লবনাক্ততা, ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে) ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
শুধুমাত্র এক মিটার অবধি সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থানের ফলে বাংলাদেশ সমুদ্রের পানির নিচে তার ভূমি অঞ্চলটির ১৫% পর্যন্ত হারাতে পারে এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রভাবের কারণে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ৩০ মিলিয়ন মানুষ শরণার্থী হতে পারে। কৃষি, শিল্প, অবকাঠামো (স্কুল, হাসপাতাল, সড়ক, সেতু এবং কালভার্টস ইত্যাদি), জীবিকা, সামুদ্রিক সম্পদ, বনজ, জীববৈচিত্র্য, মানবস্বাস্থ্য এবং অন্যান্য ইউটিলিটি পরিসেবা একই কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।
জলবায়ুর পরিবর্তন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে।উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি,গ্রীনহাউজ গ্যাস পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি করেছে,ওজোনস্তরের ক্ষতিসাধিত হচ্ছে,কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পেয়েছে।এই সকল সমস্যার কারণে বিভিন্ন দেশকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।বিশেষ করে বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা পরবর্তীতে আরো বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে।
দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় এক ভাগ বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে, যেখানে বেশিরভাগ জনগোষ্ঠী উপকূলীয় বন্যা / জলোচ্ছ্বাস, নদীর তীরের ক্ষয়, লবনাক্ততা, ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় ইত্যাদি দ্বারা প্রভাবিত (প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে) ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
Credit: The Straits Times |
জলবায়ুর পরিবর্তন আমাদের দেশের অর্থনৈতিক পরিবর্তনে অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে।উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি,গ্রীনহাউজ গ্যাস পৃথিবীর তাপমাত্রা ৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি করেছে,ওজোনস্তরের ক্ষতিসাধিত হচ্ছে,কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধি পেয়েছে।এই সকল সমস্যার কারণে বিভিন্ন দেশকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দূর্যোগের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।বিশেষ করে বাংলাদেশের জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে যা পরবর্তীতে আরো বিরুপ প্রভাব ফেলতে পারে।
Comments
Post a Comment